ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪

কিয়েভ থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান রুশ সামরিক বহর

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে রাশিয়ার ৬০ মাইল দীর্ঘ সেই সামরিক বহর। কিয়েভ অভিমুখে যাত্রা করা রুশ সেনাবহরটি গত তিন দিনেও শহরটিতে পৌঁছাতে পারেনি। কিয়েভ ও অন্যান্য শহরে ইউক্রেনীয় সৈন্য এবং সাধারণ জনগণের প্রচণ্ড প্রতিরোধের মুখে তাদের অগ্রযাত্রা কিছুটা থমকে গেছে বলে ব্রিটিশ সামরিক গোয়েন্দারা দাবি করছেন।


মস্কো কৃষ্ণসাগরের বন্দরনগরী খেরসন দখলে নেওয়ার পরদিন যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, কিয়েভের দিকে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর অগ্রযাত্রার গতি অনেকটাই কমে এসেছে। ইউক্রেনীয় বাহিনী এখনো খারকিভ এবং অন্যান্য বেশ কয়েকটি শহরে রুশ আক্রমণের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে।


রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ১৯৪৫ সালের পর ইউরোপীয় কোনো রাষ্ট্রে সবচেয়ে সামরিক অভিযানের নির্দেশ দেওয়ার পরপরই ইউক্রেনে রুশ সৈন্যরা ব্যাপক রক্তক্ষয়ী অভিযানে নামে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া এই সংঘাতে ইউক্রেনে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি এবং ১০ লাখের অধিক মানুষ দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। তবে রাশিয়ার সেনাবাহিনী এখনো কিয়েভের ক্ষমতাসীন সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারেনি।


বৃহস্পতিবার হালনাগাদ গোয়েন্দা তথ্যে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ইউক্রেনীয়দের প্রতিরোধ, ভঙ্গুর রুশ কৌশল এবং যানজটের কারণে রাশিয়ার সামরিক বহরের প্রধান অংশটি এখনো কিয়েভ থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। কিয়েভে প্রবেশের ব্যাপক প্রতিরোধের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে রুশ এই বহর।


সেখানে বলা হয়, গত তিন দিনে এই বহর খুব বেশি দূর অগ্রসর হতে পারেনি। রাশিয়ার তীব্র গোলাবর্ষণ সত্ত্বেও চেরনিহিভ, খারকিভ এবং মারিউপোল এখনো ইউক্রেনীয়দের হাতে রয়েছে।


কিয়েভের ৫৮ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় বোরোদিয়ানকার এলাকার একজন বাসিন্দা শত্রুপক্ষের সঙ্গে তাদের শ্বাসরুদ্ধকর গোলাগুলির বর্ণনা দিয়েছেন ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে। প্রকাশিত একটি ভিডিয়োতে দেখা যায়, রাশিয়ান গোলার আঘাতে ভবনগুলো ধ্বংস হয়েছে, সড়কে সড়কে আগুন জ্বলছে এবং সামরিক যানবাহন ধ্বংস হয়ে গেছে।


পরিচয় গোপন রাখার শর্তে ইউক্রেনের এক নাগরিক বলেছেন, বোরোদিয়ানকার কেন্দ্রের একটি ডাকঘরের সামনের পার্কে রুশ সৈন্যরা তাদের বিএমপি গাড়ি (সামরিক যান) থেকে অনবরত গুলি ছুড়ছে। এরপর এই জারজরা ট্যাংক চালিয়ে দিয়েছে এবং এরই মধ্যে আগুনে পুড়ে যাওয়া সুপার মার্কেটে গোলাবর্ষণ শুরু করেছে। এতে আবারও আগুন ধরে যায়।

ads

Our Facebook Page